পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে দালাল চক্রের দাপটে অতিষ্ট গ্রামবাসী।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চরআন্ডা গ্রামে এসব দালালের উৎপাত লক্ষ্য করা যায়। দালাল সিন্ডিকেটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। দালাল চক্রটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পুলিশ ফাঁড়ি, চরআন্ডা বাজার, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বনবিভাগ, মৎস্য বিভাগসহ সর্বত্র তাদের অবাধ বিচরণ এবং তাদের একছত্র দাপট। এ বিষয়ে চরআন্ডা গ্রামের সাইদুল জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি ঘর তিনি বরাদ্দ পান।
ঘরের আশেপাশের খালি জায়গায় তিনি সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করেন। ইউপি নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী লোকমানের পক্ষ করায় আমার ঘরটি বিক্রি করে দেয় গণি মৃধার ছেলে রহিম মৃধা (২২)। চরআন্ডা গ্রামের ইদ্রিস খা বলেন, রহিম মৃধা নির্বাচনের পরে আমাদের গ্রামের একাধিক মানুষজনকে মারধর করেছে। তিনি সকল সেক্টরে প্রভাব খাটান। প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাওয়া, বিভিন্ন ভাতা পেতে, জেলে চাল পেতে সে দালালী করে। তাকে টাকা না দিলে এসব কাজ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে তার সিন্ডিকেট। রহিম মৃধা ইউপি নির্বাচনের পর থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। রহিম মৃধার সমর্থিত বিজয়ী মেম্বর প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে বিরোধী মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের চরআন্ডা থেকে বের করে দিচ্ছেন।
তাকে টাকা না দিলে কোন কাজ সহজে করা যাচ্ছে না। তার অতিষ্ট থেকে আমরা গ্রামবাসী বাঁচতে চাই। এ বিষয়ে রাসেল মীর জানান, আন্ডারচরের দক্ষিন সাগর পারের পূর্ব পাশের আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘর রহিম মৃধা বিক্রি করে সে অন্য একজনকে দিয়ে দিয়েছে। ছগীর হাওলাদার জানান, রহিম মৃধা থানার দালালী করে। তার কাছে আমার পাওনা টাকা পয়সা চাইতে গেলে আমাকে মামলার ভয় দেখায়। এ বিষয়ে রহিম মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মিজান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।